হালদা ডিম থেকে পাওয়া গেলো ৩ শ কেজি রেণু
চট্টগ্রাম, ১৫ জুন ২০২৫:
বাংলাদেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদীতে এবার ডিম থেকে প্রায় ৩ শ কেজি রেণু (মাছের পোনা) সংগ্রহ করা হয়েছে। হালদা নদীর মা মাছগুলো সফলভাবে ডিম ছাড়ার পর নদীর দুই পাড়ের অভিজ্ঞ মৎস্যজীবীরা বিশেষ জাল ব্যবহার করে এই রেণু সংগ্রহ করেন।প্রতি কেজি রেণু মাণভেদে কেজিতে ১লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যায়।
সংগৃহীত ডিম
ডিম ছাড়ার সময় ও পরিস্থিতি
এ বছর মে মাসের শেষ সপ্তাহে হালকা বৃষ্টিপাত, বজ্রপাত এবং নদীর পানির স্রোতের গতি ডিম ছাড়ার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতের অন্ধকারে মা মাছগুলো ডিম ছাড়ে, যা ভোর রাত থেকে মৎস্যজীবীরা সংগ্রহ শুরু করেন।
রেণু আহরণে উৎসবমুখর পরিবেশ
রেণু আহরণের সময় নদীর পাড়জুড়ে দেখা যায় উৎসবের আমেজ। শত শত নৌকায় চড়ে মৎস্যজীবীরা নদীর বুকে ছড়িয়ে পড়ে রেণু সংগ্রহ করেন। স্থানীয় এক জেলে বলেন, “আমরা আশাবাদী এ বছর আমাদের রেণুর মানও ভালো হবে। হালদা আমাদের জীবনের অংশ।”
প্রশাসনের উদ্যোগ ও নিরাপত্তা
মা মাছ, ডিম ও রেণু রক্ষায় জেলা প্রশাসন, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড এবং স্বেচ্ছাসেবক দল নদীতে টহল জোরদার করেছে। যেকোনো ধরনের অবৈধ শিকার ও দূষণ রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
১ দিন বয়সী ডিম
বিশেষজ্ঞদের মত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা গবেষক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, “হালদা নদীর প্রাকৃতিক মাছ প্রজনন প্রক্রিয়া রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ খুব জরুরি। হালদার রেণু দেশের মৎস্য সম্পদ সমৃদ্ধ করছে।”
হালদার গুরুত্ব
হালদা নদী দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র নদী যেখানে প্রাকৃতিকভাবে রুইজাতীয় মাছ ডিম ছাড়ে। এর রেণু দেশের বিভিন্ন হ্যাচারিতে সরবরাহ করা হয় এবং মাছচাষে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।