1. news@priyohalda.online : প্রিয় হালদা : প্রিয় হালদা
  2. info@www.priyohalda.online : প্রিয় হালদা :
সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

হালদা পাড়ের পর্যটন সম্ভাবনা

  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫
  • ১৩৩ বার পড়া হয়েছে

হালদার পাড় হতে পারে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র

স্টাফ রিপোর্টার
চট্টগ্রাম, ১৪ জুন

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর ঐতিহ্যের এক অনন্য মিলনস্থল হালদা নদী। বাংলাদেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে বিশ্বখ্যাত এই নদীর পাড় ঘিরে গড়ে উঠতে পারে সম্ভাবনাময় এক আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র। প্রয়োজন শুধু পরিকল্পিত উদ্যোগ, সঠিক বিনিয়োগ আর পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো।

চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ফটিকছড়ি উপজেলার বুক চিরে বয়ে চলা হালদা নদী প্রতিবছরই মৎস্যপ্রেমী, প্রকৃতিপ্রেমী আর গবেষকদের কাছে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত নদীর স্বচ্ছ জলে দেশীয় প্রজাতির রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালিবাউশ মাছ ডিম ছাড়ে। এ দৃশ্য দেখতে আসেন বহু মানুষ।

 

নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি

হালদা নদীর পাড়ে দাঁড়ালে চোখ জুড়িয়ে যায়। দূরে নীলাভ পাহাড়ের রেখা, মাঝ দিয়ে বয়ে চলা স্রোতস্বিনী হালদা, দুই পাড়ে সবুজের সমারোহ। বিশেষ করে বিকেল বেলায় নৌকায় চড়ে নদীর বুক চিরে যাওয়ার অভিজ্ঞতা ভোলার নয়। স্থানীয়রা বলেন, ছুটির দিনে শত শত মানুষ নদীর পাড়ে ভিড় করেন। অনেকেই পরিবার নিয়ে আসেন নৌকা ভ্রমণে। কেউ আবার নদীর পাড়ে বসে চা খেতে খেতে উপভোগ করেন প্রাকৃতিক শোভা।

সুযোগ-সুবিধার অভাব

অথচ এমন একটি সম্ভাবনাময় জায়গায় নেই পর্যটকদের জন্য কোনো উল্লেখযোগ্য সুবিধা। নেই কোনো ছাউনিযুক্ত বসার স্থান, শৌচাগার বা মানসম্মত খাবারের দোকান। নেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। ফলে অনেকেই নিরাশ হয়ে ফিরে যান।

হাটহাজারীর স্থানীয় ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান বলেন, “প্রতিদিন অনেক মানুষ আসে। কিন্তু থাকার বা বসার ভালো জায়গা নেই। খাবার দোকানও খুব কম। সরকার উদ্যোগ নিলে এখানে পর্যটনের অনেক সুযোগ তৈরি হতে পারে।”

প্রশাসনের উদ্যোগ ও পরিকল্পনা

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সীমিত পরিসরে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নদীভাঙন রোধে সিসি ব্লক বসানো, নদী তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও কিছু এলাকায় নৌকা ভ্রমণের জন্য ঘাট উন্নয়নের কাজ চলছে।হালদা রিভারভিউ নামে একটা প্রকল্প ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

 

 

সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ

পর্যটন বিশেষজ্ঞদের মতে, হালদা নদীর পাড়ে নৌকা ভ্রমণ কেন্দ্র, মাছের প্রজনন প্রদর্শন কেন্দ্র, শিশুদের জন্য বিনোদন কেন্দ্র, ভাসমান রেস্তোরাঁ ও স্থানীয় পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এতে স্থানীয় অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে, কর্মসংস্থান বাড়বে।

তবে চ্যালেঞ্জও কম নয়। নদীভাঙন, অপরিকল্পিত ব্যবসা স্থাপন, পরিবেশ দূষণ আর সুযোগ-সুবিধার ঘাটতি পর্যটনের সম্ভাবনাকে বাধাগ্রস্ত করছে।

 

পর্যটকদের প্রত্যাশা

নদীর পাড়ে ঘুরতে আসা চট্টগ্রাম শহরের বাসিন্দা সালমা আক্তার বলেন, “নদীর সৌন্দর্য অসাধারণ। কিন্তু বসার জায়গা নেই, টয়লেট নেই। শিশুরা বোর হয়ে যায়। যদি এসব সুবিধা থাকত, ঘুরতে আরও ভালো লাগত।”

কী করা প্রয়োজন?

বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয়দের মতে, হালদা নদীর পাড়কে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে নিচের বিষয়গুলো জরুরি:

পরিকল্পিত অবকাঠামো গড়ে তোলা (ছাউনি, বসার জায়গা, শৌচাগার, নিরাপত্তা ব্যবস্থা)

পরিবেশবান্ধব নৌকা ঘাট ও নৌকা ভ্রমণ ব্যবস্থাপনা

নদীভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা

স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরার প্রদর্শনী

নিরাপদ যাতায়াত ও পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা

 

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট