ধুরুং খালে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ নারী ২৮ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
ফটিকছড়ির কাঞ্চননগর ইউনিয়নের ধুরুং খালে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া রেজিয়া বেগম (৫০) ঘটনার ২৮ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকেল ৩টার দিকে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হন তিনি। এরপর বুধবার (১৯ জুন) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে খালের উত্তর কাঁচননগর এলাকার ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন কালাপানিয়া নামক স্থানে তীরে চিৎকার করতে করতে তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা
প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবারের বরাত দিয়ে জানা গেছে, রেজিয়া বেগম প্রতিদিনের মতো বাড়ির পাশের ধুরুং খালে গোসল করতে নামেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হলেও তিনি ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয়। পরে স্থানীয়রা খালের পাড়ে তার কাপড় ও সাবান দেখতে পান। এতে তারা উদ্বিগ্ন হয়ে তাকে খুঁজতে শুরু করে।
তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশের মানুষ খালের দুই পাড়ে ভিড় করেন এবং তল্লাশি শুরু হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও চট্টগ্রাম শহর থেকে ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে দীর্ঘ সময় তল্লাশি চালান। পুরো ২৮ ঘণ্টা ধরে অভিযান চললেও তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। অবশেষে বুধবার সকালে কালাপানিয়া এলাকায় খালের তীরে হঠাৎ করে রেজিয়া বেগমের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে যান এবং তাকে উদ্ধার করেন।
জীবিত উদ্ধারের সময়ের বর্ণনা
উদ্ধারের সময় রেজিয়া বেগমকে শারীরিকভাবে দুর্বল দেখা গেলেও তিনি সুস্থ ছিলেন। স্থানীয়রা জানান, তাকে বারবার “আল্লাহু আকবার” বলতে শোনা যাচ্ছিল। পরে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
এলাকাবাসীর প্রতিক্রিয়া
এলাকাবাসীর অনেকেই ঘটনাটিকে অলৌকিক বলে মনে করছেন। কারণ এর আগেও একই খালের মানিকপুর অংশে কয়েকটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মাত্র দুই দিন আগেই, ১৬ জুন, একই খালে নানি ও নাতনি নিখোঁজ হয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
স্থানীয় প্রশাসনের মন্তব্য
ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এমন দুর্ঘটনা এড়াতে খালের বিভিন্ন বিপদজনক স্থানে সতর্কতা চিহ্ন বসানো হবে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হবে।